নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়ায় পরিত্যক্ত ও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ইটভাটা এস্কেভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় কয়েকটি শ্রমিকদের পরিত্যক্ত বাসাও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরে ইটভাটার পাশে থাকা কয়েকটি পুকুর থেকে বিপুল পরিমান মাছ জব্দ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
বুধবার (১২ ফেব্রæয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উচিতারবিল এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
জানা যায়, চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: এরফান উদ্দিনের নেতত্বে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উচিতার বিল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন। এই ইটভাটার মালিক ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। বিগত ৫ বছর ধরে এই ইটভাটা বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ইটভাটার পাশে চারটি পুকুরে মাছ চাষ করা হচ্ছে। ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পুকুর থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরে জব্দ করা হয়। এছাড়া শতাধিক বরই গাছ, বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছও গুড়িয়ে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন ইটভাটার কেয়ারটেকার মো. সাহাব উদ্দিন ।
এদিকে ইটভাটার মালিক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উচিতারবিল মৌজায় ৪০৩ দগের খতিয়ানভুক্ত জমিতে ইট ভাটা কক্সবাজার জেলা প্রশাসন থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইট ভাটা বিগত সাড়ে পাঁচ বছর পূর্বে জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও উপজেলা ভূমি অফিসকে লিখিত ভাবে অবহিত করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে সম্পূর্ন উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর লাইসেন্সের উপর ট্যাক্স ভ্যাট দিতে হয়, তাই আমি সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে চিঠি দিয়ে ইট ভাটা বন্ধ করে দিয়েছি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ইট ভাটায় অভিযানের নামে তান্ডব চালানো হয়েছে এবং আমার পুকুর থেকে মাছ জব্দ করে নিয়ে গেছে। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
অভিযানে থাকা চিরিঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আবুল মনছুর বলেন, চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফান উদ্দিনের নেতৃত্বে ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধ থাকা স্বত্বেও চিমনি ভেঙ্গে না ফেলায় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়েছে। এছাড়া খাস জমিতে পুকুর খনন করায় মাছ জব্দ করা হয়। জব্দ করা মাছ এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
পাঠকের মতামত: